সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা কলরেট দিয়ে জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা কেন?

গতকাল রাতে অনেকদিন পর খেলা ছাড়া টিভির অনুষ্ঠান দেখতে বসলাম। একটা টক শো। নবনীতা চৌধুরীর সাথে বিটিআরসি এবং অন্যান্য মোবাইল ফোন কোম্পানির হর্তাকর্তারা এসেছেন ৪৫ পয়সা কলরেট নিয়ে আলোচনা করতে। আমার বেশ কৌতূহল হলো কলরেট বাড়ানোর পক্ষে তারা কী কী যুক্তি দেবেন, বা কেন এটা করা হলো তা জানতে। আলোচনা থেকে জানতে পারলাম নিম্নলিখিত বিষয়গুলো- ১। পৃথিবীর আর কোথাও অন নেট/অফ নেট আলাদা কলরেট নেই। অর্থাৎ জিপি টু জিপি এক কলরেট, জিপি টু অন্য নেটওয়ার্ক বেশি কলরেট, এটা নেই। এজন্যে একটা ইউনিফাইড কলরেট খুব দরকার ছিলো। ভালো কথা। ইউনিফাইড করেন, কিন্তু ২৫ পয়সা সর্বনিম্ন কলরেট থেকে একলাফে সর্বনিম্ন কলরেট ৪৫ পয়সা করে ফেললেন? ২। এই প্রশ্নের জবাবে তারা বললেন যে অনেক হিসেব নিকেশ করে একটি মধ্যবর্তী কলরেট নির্ধারণ করা হয়েছে। ও আচ্ছা। তো এতে গ্রাহকের লাভ কী? গ্রাহক কেন কলরেট বৃদ্ধি মেনে নেবে? পৃথিবীর সবখানে কলরেট কমানোর প্রতিযোগিতা চলে, আমাদের এখানে বাড়বে কেন? ৩। তাদের উত্তর, দেখুন সবকিছুরই দাম বাড়ে। গ্যাসের দাম বাড়ে, কারেন্টের দাম বাড়ে, একটা সময় কলরেট ভ্যাটসহ ১০ টাকার বেশি ছিলো। তাদের এ অকাট্য যুক্তি শুনে বা...