Posts

Showing posts from October, 2018

বিষণ্ণ সন্ধ্যার প্লে লিস্ট, আইয়ূব বাচ্চুর ক্রিমিনালি আন্ডাররেটেড ১০টি গান

Image
প্রিয় বাচ্চু ভাই, আপনি নেই দুইদিন হলো। এই মুহূর্তে যখন আপনাকে লেখাটি লিখতে বসেছি, তখন আপনার জানাজা হচ্ছে। কত মানুষ আপনাকে সম্মান জানাতে গেছে! এখনও কি খুব একা লাগছে? এখনও কি অবাক হৃদয় নিয়ে শুধু কেঁদে কেঁদে যাবেন নীরবে? আপনি কাঁদবেন কেন? আপনি তো যেভাবে চেয়েছিলেন, সেভাবেই জীবনটা কাটিয়ে গেলেন! আপনি চেয়েছিলেন শুধুমাত্র গান নিয়ে থাকতে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গান করে যেতে। তাই তো করলেন! চলে যাবার আগের দিনও কনসার্ট করেছেন। হার্টের ৩০% সক্ষমতা নিয়ে এত  পাগলামী না করলে চলতো না? চলে যাবার কি এতই তাড়া ছিলো? আপনি না জয়া আহসান আর শবনম ফারিয়াকে কথা  দিয়েছিলেন, ‘দেবী’ অবশ্যই দেখবেন! তার আগেরদিনই চলে যেতে হলো?  আপনার চলে যাওয়াতে অপরিসীম শূন্যতা অনুভব করেছি, তারপরেও কিন্তু পরেরদিন ঠিকই দেবী দেখতে গিয়েছি।  সামনাসামনি জয়া আহসান আর শবনম ফারিয়াকে দেখে আনন্দিত হয়েছি, এসে বিশাল রিভিউও লিখেছি। বাচ্চু ভাই, Show must go on! জেমস ভাই এ কথাই বলেছিলেন আপনার চলে যাবার দিন কনসার্টে গাইতে গিয়ে অবাধ্য কান্নাকে প্রশ্রয় দিয়ে। আপনাকে নিয়ে আগে যে লেখাটা লিখেছিলাম, সেটা অনেক মানুষের কাছে পৌঁছেছে। সোশাল মিডিয়ায় যেমন হয়

কেমন লাগলো দেবী? দেবী মুভি রিভিউ!

Image
দেবী, আমি আপনাকেই খুঁজছিলাম! বাংলাদেশের সিনেমা দেখতে গেলে একটা সমস্যা হলো, অনেক কিছু মাথায় রেখে দেখতে হয়। সবকিছু তুলনা করতে হয় বাংলাদশের স্ট্যান্ডার্ডে, পৃথিবীর স্ট্যান্ডার্ডে না। এমন কি উপমহাদেশের স্ট্যান্ডার্ডেও না! ভালো মানের ছবি হয়, কিন্তু সেগুলো ব্যবসাসফল হয় না, যেমন মাটির প্রজার দেশে। হাতে গোণা কয়েকটি হলে মুক্তি পায়, অল্প কিছু মানুষ দেখে, খুব পছন্দ করে। কিছু ভালো সিনেমাও ব্যবসাসফল হয়, কিন্তু অনেক কিছুর সাথে আপোষ করে। এই যেমন ঢাকা এ্যাটাক, চোরাবালি! এখানে রেকলেস গ্যাংস্টার, শীতল মেজাজের নিষ্ঠুর পুলিশের পাশাপাশি ন্যাকা ন্যাকা নায়িকা, এবং সুন্দর দৃশ্য সম্বলিত গান ছিলো। তৌকির আহমেদের সিনেমা খুবই ভালো, তিনি কোনো আপোষও করেন না, কিন্তু তিনি মার্কেটিংয়ে বড়ই উদাসীন। আয়নাবাজির মার্কেটিং যেমন করা হয়েছে, ছবি ঠিক ততটা ভালো লাগে নি। দেবী নিয়েও তাই শঙ্কা ছিলো অনেক। বাংলাদেশে এর আগে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার/হরর ঘরানার ছবি দেখি নি কি না! তার ওপর আবার প্রচারণার অংশ হিসেবে ৪ মিনিটের এক মাখামাখা রোমান্টিক গান রিলিজ দেয়া হলো। শঙ্কাটা তখন আরো বেড়ে যায়। তবে শঙ্কা থাকলেও আগ্রহের কমতি ছিলো না

আইয়ূব বাচ্চু, আপনি আসবেন ফিরে গানে গানে, রুপালি গিটার হাতে...

Image
(১) ১৯৯০ এর দিকে আমাদের ব্যান্ড এ্যালবামগুলোর একটা ফরমেট ছিলো। বেশিরভাগ থাকবে বিরহের গান, একটি সন্ত্রাস অথবা মাদকবিরোধী গান, একটি ফোক গান। সেই সময়ে আমাদের ব্যান্ডগুলির মূল শক্তি ছিলো মেলোডি। লিরিক? সে একরকম বসিয়ে দিলেই হবে আর কী! সেই সময় একজন নেপথ্যে থাকা মিউজিসিয়ান এক অদ্ভুত কাজ করে ফেললেন! তিনি ছিলেন সোলসের গিটারিস্ট। এল আর বি নামে একটি ব্যান্ড গড়ে একসাথে দুটি এ্যালবাম বের করে ফেললেন! বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম ডাবল এ্যালবাম। তখন তার সাথে ছিলেন কি-বোর্ডে টুটুল, বেইজে স্বপন আর ড্রামসে জয়। ঐ এ্যালবামের গানগুলি বেশ অদ্ভুত। একেকটা গানে একেকরকম গল্প। ডাবল এ্যালবামের প্রথম পিঠের গানগুলি ছিল- ১। ঘুম ভাঙা শহর ২। প্রভু ৩। ঢাকার সন্ধ্যা ৪। শেষ চিঠি ৫। তুমি ছিলে দ্বিতীয় পিঠে ছিলো ১। মাধবী (নষ্ট নারী) ২। সবাই চলে যায় ৩। ধীরে ধীরে ৪। ফেরারী এই মনটা আমার ৫। কেন তুমি দ্বিতীয় এ্যালবামের গানগুলি ছিলো এ পিঠে ১। হকার ২। হ্যাপি ৩। আড্ডা ৪। তোমার চিঠি ৫। রিটায়ার্ড ফাদার ৬। পেনশন ও পিঠে ১। স্মৃতি নিয়ে ২। এমনটি হলে কেমন হয় ৩। শেষ রাতে ডাক্তার ৪। মা ৫। জীবনের মানে