Posts

Showing posts from November, 2019

ফ্যাক্ট চেক- ব্রুস লি কি নানচাক দিয়ে পিংপং খেলেছিলেন?

Image
দুঃখিত, ব্রুস-লির নানচ্যাক দিয়ে টেবিল টেনিস খেলার ভিডিওটি সত্যি নয়। ১৯৭০ সালে ব্রুস লি নানচ্যাক দিয়ে টেবিল টেনিস খেলেন নি। যাকে আপনারা দেখছেন, তিনি একজন ব্রুস লি লুক-এলাইক এবং খেলাটিও সত্যি না, ওটা আদতে একটি লিমিটেড এডিশন নোকিয়া মোবাইল ফোনের কমার্শিয়াল মাত্র। ২০০৮ সালে হংকংয়ের ভোক্তাদের জন্যে নোকিয়া অতি উচ্চ মূল্যের এই ফোনটি অতি অল্প পরিমাণ বের করে। এর মূল্য রাখা হয়েছিলো ১৩০০ ডলার মাত্র। ফোনটির বিশেষত্ব? সেখানে কিছু ব্রুস লি এক্সেসরিস দেয়া ছিলো, এবং একটি নানচাক সদৃশ কি হোল্ডার ছিলো।  সেই ফোনের জন্যে তারা একটি ওয়েবসাইটও লঞ্চ করে http://www.nokia-lee.com.cn/ নামে, বর্তমানে যা অকার্যকর। যে কমার্শিয়ালটি ব্রুস-লির ১৯৭০ সালের কর্মকান্ড হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে, সেখানে পিংপং বলটি ডিজিটাল উপায়ে তৈরি করা হয়েছে। ব্রুস-লির লুক এলাইক তার ইচ্ছেমত নানচাক নাড়াচাড়া করেছেন, পরে ভিডিও এডিট করে সেখানে পিংপং বল বসিয়ে দেয়া হয়েছে। এই আর কী! বিশ্বাস হচ্ছে না? এই ভিডিওর ১ মিনিট ১৬ সেকেন্ড থেকে দেখা শুরু করেন। https://youtu.be/SncapPrTusA?t=76 পূর্ণ বিজ্ঞাপনটি এখানে দেখতে পাবেন। আর একটা কথা,

৫টি তথাকথিত অতিপ্রাকৃত ঘটনার ব্যাখ্যা

Image
থ্রি লার পাঠকদের আসর  ফেসবুক গ্রুপে “পাঁচটি রহস্যময় ঘটনা, এখনো যার কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পান নি বিজ্ঞানীরা” নামে একটি পোস্ট দেয়া হয়েছিলো। সে প্রসঙ্গে লিখছি। দেখা যাক, ব্যাখ্যা পাওয়া যায় কি না। ঘটনা ১- ড্যান্সিং প্লেগ  বিবরণ- “১৫১৮ সালের জুলাই মাসে মিসেস ত্রোফফেয়া নামের এক নারী” হঠাৎ নাচতে শুরু করেন। তার দেখাদেখি আরো শত শত মানুষ নাচতে থাকেন, এবং টানা এক মাস নেচে অবশেষে মৃত্যুবরণ করেন। এক মাস ধরে অবিরাম নাচতে থাকা কোনো ব্যক্তির পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই এর যথাযথ ব্যাখ্যাও বিজ্ঞানীরা দিতে পারেননি। ব্যাখ্যা- হ্যাঁ, এরকম ঘটনা আসলেই ঘটেছিলো । কিন্তু এর কি কোন ব্যাখ্যা নেই? আছে। ধারণা করা হয়, যে মহিলার মাধ্যমে নাচ শুরু হয়েছিলো, তিনি Ergot নামক একটি ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। রাই থেকে রুটি তৈরির সময় কোনভাবে তার ভেতর এটি সঞ্চালিত হয়েছিলো। এই বস্তুটি অনেকটা এলএসডির মত কাজ করে। কিন্তু কথা হচ্ছে, ড্রাগসের প্রভাবে একজন নাচতে পারে, কিন্তু এতজন মানুষ কেন তার সাথে যোগ দিলো? এর ব্যাখ্যা হিসেবে মনোবিজ্ঞানীরা যে তত্ত্বটি দেন, সেটি হজম করা একটু কঠিন হলেও সেটা মোটেও অবাস্তব না। তারা ম্যাস হিস্ট