Posts

Showing posts from July, 2018

উপন্যাস- ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা (প্রথম অধ্যায়)

Image
সূচনা একটা পোকার কথা আমার খুব মনে পড়ে । আমার জীবনের প্রথম উল্লেখযোগ্য ঘটনার নেপথ্যে আছে সে ।   তার নামটি বেশ জবরদস্ত। ঢোলকলমি পোকা। সে সময় আমাদের জনপদে বেশ   আলোড়ন তৈরি   করতে সক্ষম হয়েছিলো এই ক্ষুদ্র সৃষ্টি । আলোড়নের বদলে আতঙ্ক বললেই মানানসই হবে। অতটুকু পোকার কী   ক্ষমতা! তারা এতটাই বিষাক্ত ছিলো , যে দূর থেকেই মানুষজনকে আক্রান্ত করতে পারতো। মানুষজন তাদের দেখে দমবন্ধ হয়ে মারা যেতো , অথবা তাদের গলা থেকে রক্ত ছলকে পড়তো।   কোনো ডাক্তারের সাধ্য ছিলো না এর প্রতিকার করার। এমন একটি রোমাঞ্চকর বিষয়ে যে কেউ শিহরিত হবে স্বাভাবিকভাবেই। আমিও হয়েছিলাম। নিজেকে নিরাপদে রেখে দূর থেকে ভয়ংকর সব বিপদের বর্ণনা পড়ার মত আয়েশ আর কোথায় পাবো! কীভাবে ঢোল কলমি পোকা এলো , তাদের উদ্দেশ্য কী , কীভাবে তারা মানবজাতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে এনিয়ে জ্ঞানী মুরুব্বিরা নানারকম গা ছমছমে গল্প বলতেন । এর আগে ভয় পাইয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে যেসব গল্প রচিত হয়েছিলো , সেগুলোতে যথেষ্ট সৃষ্টিশীলতার পরিচয় তারা দিতে পারেন নি । দিনের পর দিন আমাদের শোনানো হত জ্বিন এসে ময়রার দোকান থেকে মিষ্টি খেয়ে যাচ্ছে, অথবা মেছো ভূত

ক্রোকোডাইল- যে ড্রাগ মাংস খায়! (দূর্বলচিত্তদের জন্যে না)

Image
“আমার নাম ঝানা। আমি একজন রাশিয়ান নারী। আমি ক্রোকোডাইল ড্রাগসে আসক্ত। গত কয়েক বছর ধরে এই ড্রাগ নিচ্ছি আমি। এখন এটা ছাড়া কীভাবে বাঁচতে হয় আমার জানা নেই। মাঝে অবশ্য চেষ্টা করেছি কাজকর্ম করে নতুন জীবনে ফিরে যাবার। কিন্তু লাভ হয় নি। ক্ষতি যা হবার হয়ে গেছে। শারীরিক পরিশ্রমের কাজ আমার দ্বারা করা সম্ভব না। সে ক্ষমতা শেষ। বুদ্ধিবৃত্তিক কাজও অসম্ভব। চিন্তা করার ক্ষমতাই যে হারিয়ে ফেলেছি! এখন একটা কাজই পারি, তা হচ্ছে ঘরে বসে এই ড্রাগ তৈরি করা। এটা খুব ভালো পারি। বন্ধুরা আমার হাতের বেশ সুনাম করে। হায়, বন্ধুরা! শুরু করেছিলাম যাদের সাথে, তাদের সবাই মৃত। নিজ হাতে কবর দিয়েছি তাদের। জেলে থেকেছি কতদিন! এতকিছু দেখে এখন আর আমার কোনোকিছুতেই ভয় হয় না। ভয় পাবো কিসে, মৃত্যু? নেক্সট জোক প্লিজ! যে জীবন যাপন করছি, এর চেয়ে ভয়াবহ নিশ্চয়ই মৃত্যু হতে পারে না! ক্রোকোডাইল যখন শরীরে প্রবেশ করাই, প্রথম ধাক্কাতেই সব ভুলে যাই।  এই ক্রমাগত জীবনকে ভুলতে চাওয়া, এটাই আমার কাছে জীবন এখন। আমি জানি এ ছাড়া আমার আর কোনো পথ খোলা নেই। আমি জানি খুব ভয়ানক ভুগে মৃত্যু হবে আমার। ফেরার কোনো পথ নেই। মেনে নিয়েছি এই অবশ্যম্ভাবী পরিণতিকে”।