Posts

Showing posts from April, 2019

বেটস মেথড এর আবিষ্কারক উইলিয়াম বেটস এবং তার যাবতীয় নির্বুদ্ধিতা

Image
ভয়ংকর একটা পোস্ট ভাইরাল হবার পথে এগুচ্ছে। এটাকে এখনই থামান, নইলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন! https://www.facebook.com/groups/EngineersDiaryFamily/permalink/ 2116901885046208/   পোস্টটা দেখেছি ইঞ্জিনিয়ারস ডায়েরি নামক এক গ্রুপে। বিষয়বস্তু হলো, কীভাবে মাইওপিয়া বা দৃষ্টিক্ষীণতা প্রাকৃতিক উপায়ে নিরাময় করা যায়। পোস্টদাতার ভাষ্যমতে মাইওপিয়ার কারণে চশমা নেয়ার কোনই দরকার নেই, এবং চশমা দেয়াটা ডাক্তারদের এক ধরণের ষড়যন্ত্র। সমাধান খুবই সহজ। “এই সমস্যা সমাধান করতে আমাকে বদ-অভ্যাস বাদ দিয়ে টানা ৭ দিন রুটিন করে ৪০০-৫০০ মিটার দূরের কোনো কিছুর দিকে একটানা ৪০-৫০ মিনিট তাকিয়ে থাকতে হবে। চোখ ঠিক হয়ে যাবে”। তাই! কীভাবে সম্ভব এটা? মাইওপিয়া হয় মূলত চোখের গঠনগত ত্রূটির কারণে। আপনার চোখের মনি যদি বেশি স্ফীত হয়, অথবা কর্নিয়ার গঠনে যদি ত্রূটি থাকে, তাহলে আলো কর্নিয়া থেকে চোখের লেন্স হয়ে রেটিনাতে যথাযথভাবে ফোকাস না করে তার একটু আগে প্রতিবিম্ব তৈরি করে। এর ফলে সৃষ্টি হয় ঝামেলা। এখন চোখের এই গঠনগত ত্রূটি কি দূরের বস্তুর দিকে টানা তাকিয়ে থেকে দূর করা সম্ভব? যদি তা হয়, সেটা কীভাবে? কোন উপা

প্যাথেটিক হোমিওপ্যাথি, কেন বিশ্বাস রাখছেন!

Image
আমার বাবা-মা চাইতেন, আমি বড় হয়ে ডাক্তার হই। কিন্তু আমার বায়োলজি ভালো লাগতো না। সেজন্যে ইন্টারমিডিয়েটে বায়োলজি বিষয়টাই বাদ দিয়ে দেই! জীবনে প্রথম নিজের সিদ্ধান্তে বড় কোন কাজ! মামনি বেশ আশাহত হয়েছিলেন। তবে আমি স্বস্তি পেয়েছিলাম। আমাদের কলেজের কম্পিউটার শিক্ষার ম্যাডাম খোলা হাতে নম্বর দিতেন। জীবনের এই সন্ধিক্ষণে এসে আমার বোধোদয় হলো। নাহ, মানবসেবার এই মহান পেশায় নিজেকে নিয়োজিত না করে কী ভুলটাই না করেছি! ভুল শুধরানোর কি কোন উপায় নেই? আছে বটে! একটু কষ্ট করলেই যে কেউ হোমিও ডাক্তার হয়ে যেতে পারে! আহ, হোমিওপ্যাথি! অনেকদিন ধরেই হোমিওপ্যাথি নিয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করছি। শুধু নেটে ঘাঁটি নি, অনেকের সাথে কথাও বলেছি। এর মধ্যে আছেন মূলধারার চিকিৎসক (হোমিওপ্যাথরা যাকে বলে এ্যালোপ্যাথিক), আছেন হোমিও ধারার চিকিৎসক, আছেন মূল ধারার চিকিৎসা থেকে আলোর পথে, মতান্তরে হোমিওর পথে ফিরে আসা চিকিৎসক, শখের হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক, হোমিওপ্যাথির স্টুডেন্ট, আরো অনেকেই।   এতসব কিছু করে আমি কী সিদ্ধান্তে এসেছি, সেটা বলে ফেলি। হোমিওপ্যাথি একটি অপচিকিৎসা। আমি খোলা মন নিয়েই লেখাটা লিখছি। আপনারা যদি পারেন, এই সিদ্ধান্ত বদলে

প্রিয় ব্যান্ডের প্রতি লয়ালিটি দেখাতে গিয়ে তাদেরকে নিচে নামাচ্ছো কেন?

Image
(বাংলাদেশী ব্যান্ড মিউজিকের এক গ্রুপে বিভিন্ন ব্যান্ডের সমর্থকগোষ্ঠীর মধ্যে ঝগড়া লেগেছে, সেখানে কমেন্ট করতে গিয়ে বড় একটা লেখা হয়ে গেলো!) আমি বাংলা ব্যান্ডের পোড় খাওয়া এক শ্রোতা। আমার কথাগুলি একটু মনোযোগ দিয়ে শোনার আহবান জানাই আমার অনুজদের। আমি সোলসে যখন তপন চৌধুরি, আইয়ুব বাচ্চু, কুমার বিশ্বজিতেরা ছিলেন, চাইমে যখন আশিকুজ্জামান টুলু ভাই ছিলেন, যখন খালিদ চাইমের প্রথম এ্যালবামে নাতি খাতি বেলা গেলো দিয়ে সারাদেশে সবার প্রিয় হয়েছেন, সেই সময়টা দেখেছি। একটা সময় বাংলাতেও মেটাল এলো। আরে, কী আজব ব্যাপার! ওয়ারফেইজ, রকস্ট্রাটা রক্তে নেশা ধরিয়ে দিলো। এলআরবি নিয়ে এলো লিরিকে বিপ্লব, আর প্রমিথিউসের বিপ্লব সেই সময় যে লিরিকে গান করতো, তা এখন হলে জেল খাটার সম্ভাবনা ছিলো। মাইলসের গানের লিরিক অবশ্য খুবই সাদামাটা, আমি-তুমি ছাড়া কিছু নেই, কিন্তু তারা সুর আর মিউজিক দিয়ে জাদু করতে জানতো। পার্থ বড়ুয়া-চারুরা আবার র‍্যাপ করা শুরু করলো, এ এক নতুন ব্যাপার! মাকসুদ-ফোয়াদ নাসের বাবু-লাবু-পিয়ারু ভাইরা তখন নতুন নতুন সব ব্যাপার ঘটাচ্ছেন!.আর্কের মাঝারি মাপের হিট প্রথম এ্যালবামের পর টুলু হাসানকে নিয়ে এসে দ্বিতীয় এ