Posts

Showing posts from March, 2019

মুভি রিভিউ-লাইভ ফ্রম ঢাকা

Image
একটা খোড়া লোক। শেয়ারবাজারে দরপতন। প্রেমিকার সাথে অসুস্থ সম্পর্ক। ড্রাগ এ্যাডিক্টেড ভাই। পাওনাদার... “আমি আর নিতে পারতেছি না, আমি তো একটা মানুষ!” নিতে না পারলেও নতুন নিতে হবে। তেতে ওঠা এই শহর না দিয়ে ছাড়বে? ১২ মিলিয়ন মানুষ একে অপরের সাথে লেগে আছে রাত-দিন, শহর কি আসতে বলেছিলো আপনাদের? ভালো লাগে না, বমি আসে, হাসিমুখ নেই, সুন্দর স্পর্শ নেই, বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন? দূষিত বাতাস বুকে ঢুকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে? পালান! বরফের দেশে চলে যান। রাশিয়া? হলো না। মালয়েশিয়া? তাই সই! প্রেমিকাটা বমি করে মরে যাক, ড্রাগ এ্যাডিক্ট ভাইটা খুপড়ি ঘরে মুখে কষ জমে পড়ে আছে। এখনই তো যাবার সময়! কিন্তু এই শহরের প্রতিহিংসা থেকে বাঁচা কি অত সহজ? হ্যালো, ঢাকা থেকে লাইভ বলছি... লাইভ ফ্রম ঢাকা একটি বিষণ্ণ, গুমোট, এবং অনেকটাই বিমূর্ত চলচ্চিত্র। সাদাকালো এই সিনেমাটিতে সাদা কম, কালো বেশি। চরিত্র কম, দৃশ্যকল্প বেশি। মূল চরিত্র সাজ্জাদ গাড়ি চালিয়ে এখানে ওখানে যায়, একে ওকে ফোন করে, একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি বারবার ঘটে, তবে প্রতিবারই কিছু না কিছু নতুন চরিত্র যুক্ত হয়। এই যেমন শেয়ার মার্কেটে দরপতনের খবর চলছে

জেমস র‍্যান্ডি-এ্যান অনেস্ট লায়ার!

Image
ভদ্রলোক একটু কুঁজো হয়ে হাঁটেন। বয়স নব্বইয়ের কোঠায়। অশক্ত একজন বৃদ্ধ। কিন্তু তার চেয়ে প্রতাপশালী কাউকে আমি অনেকদিনের ভেতর দেখি নি। অনেকদিন কাউকে দেখে এত সম্ভ্রম জাগে নি! ভদ্রলোক একজন পেশাদার জাদুকর এবং এস্কেপ আর্টিস্ট ছিলেন। জাদুকরদের রাজা হুডিনির রেকর্ড ভেঙে টেঙে একাকার করেছেন। তার বিভ্রম তৈরির ক্ষমতা ছিলো অসাধারণ। চাইলেই মাইন্ড রিডিং, সাইকিক পাওয়ার, টেলিকাইনেসিস এর মত বিষয়াদীকে পুঁজি করে দারুণ ব্যবসা ফেঁদে মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারতেন। কিন্তু তিনি করলেন উল্টোটা। তথাকথিত প্যারানরমাল বিষয়ের প্রমাণ দেখাতে পারলে এক মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করলেন। দুঃখের বিষয়, ধড়িবাজ প্রতারকেরা কেউ তার ডাকে সাড়া দেয় নি। সিলভিয়া ব্রাউন নামক এক মহিলা, যিনি নিজেকে 'মিডিয়াম' হিসেবে দাবী করেন- অর্থাৎ যিনি মৃতদের সাথে তার আত্মীয়দের কথা বলিয়ে দেন, অথবা কারো পূর্বজন্মের কথা বলে দেয়ার মত বিশাল কাজকর্ম করেন, তিনি একবার তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তী বছরগুলিতে তার আর খোঁজ পাওয়া যায় নি। তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন, তিনি নাকি তার সাথে যোগাযোগ করার উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। যে মহিলা মৃতদের ঠিক

ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষার ছহি রিভিউ-ইমরান আসিফ

Image
১৭/১৮ বছর বয়সী ছেলেদের মধ্যে একটা দার্শনিক ভাব চলে আসে। খোঁঁচা খোঁচা দাড়িতে এই বাড়তি ভারিক্কি ব্যপারটা ভালোই মানিয়ে যায়। একটু কবিতা, একটু ভারী ভারী উক্তি, একটু গলা ছেড়ে গানটান গাওয়া। যদিও ২৪ পেরোতে পেরোতে জীবনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে দার্শনিকোসিস রোগ মোটামুটি ৯৫ শতাংশই সেরে যায়। অথচ আমাদের যুবসমাজ যদি এই দার্শনিকোসিস রোগে আক্রান্ত না হয়ে সেই সময়টা কাজে লাগিয়ে কোন মিনিংফুল কিছু করতো! তাতিন হচ্ছে এরকম চিকনবুদ্ধি সম্পন্ন একটা ছেলে। "ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা" লেখা হয়েছে তাতিনেরই জবানীতে। তাতিন জীবনে কিছু হতে চায়, সেজন্য সেই ছেলেবেলা থেকেই বিভিন্ন নিনজা টেকনিক অ্যাপ্লাই করে এগিয়ে যেতে থাকে। তার সাথে হতে যাওয়া সমস্ত বিজ্ঞান, ভাবনা ও কল্পনার স্ফুরণ প্রতিহত করে তাতিন বেছে নেয় সফলতার চূড়ান্ত শিখরে আরোহন করার পথ। চূড়ান্ত শিখর হচ্ছে রকেট সায়েন্স। শর্টকাটে রকেট সায়েন্স শিখে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে ফেলার এই অপকৌশল তাতিন কীভাবে রপ্ত করলো, অথবা কীভাবেই বা আপনি নিজে তা রপ্ত করে নাম কামিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবেন, এই বইটা হচ্ছে এরকম জীবনে উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধি করার ম্যানুস্ক্রিপ্ট। রকেট সায়েন্