Posts

Showing posts from June, 2018

একটি অতীব বিজ্ঞানসম্মত দিন কাটানোর গল্প

Image
আমি একজন প্রোগ্রামার। কারো সাতে পাঁচে নেই। ঘরে বসে কোডিং করেই দিন কাটে। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ, নিরুদ্বেগ জীবন কাটাই। মাসের প্রথম সপ্তাহে বেতনের টাকাটা বউকে দিয়ে দিই। ব্যাস, আমার দায়িত্ব শেষ। সংসারের ম্যানেজমেন্ট বোঝা আমার কম্ম না, সেটা আমার কাছে রীতিমত এক বোঝা! ভাগ্য ভালো যে আমার বউ খুব ভালো একজন ম্যানেজার। বাজার করা, যাবতীয় বিল দেয়া, সবই সে করে। তো সেদিন সকালে আমি হেডফোনে হেভি মেটাল গান শুনতে শুনতে কোডিং করছিলাম। হঠাৎ সে এলো গজরাতে গজরাতে। -এই ওঠো। বাজারে যেতে হবে। দুপুরে আব্বা আসবে। তাড়াতাড়ি যাও। দুই কেজি পোলাওয়ের চাল আনবা। আর যদি সরিষার তেল দেখো, তাহলে পাঁচ কেজি আনবা। আমার সুন্দর সকাল টাকে সে নির্মম আঘাতে ছিন্ন করে দিলো। নতুন একটা প্রোগ্রামের এ্যালগরিদম নিয়ে বসেছিলাম, তার মাঝে এই ঝামেলা? নাহ! বেশি তর্ক করা ঠিক হবে না। দ্রুত যাবো আর আসবো। তর্ক করলে খামোখা সময় নষ্ট হবে। কী দরকার! তাই আমি রিকশা নিয়ে বাজারে গেলাম। দুই কেজি পোলাওয়ের চাল কিনলাম। দেখলাম সরিষার তেলও আছে। তাই আরো পাঁচ কেজি পোলাওয়ের চাল কিনে ফেললাম। সর্বমোট সাত কেজি চাল কিনে মনটা খুশিতে ভরে উঠলো। কাজটা মোটেও অতটা জটিল না

মাহফুজ সিদ্দিকি হিমালয় সমীপে নামহীন বই সম্পর্কে দামহীন মতামত!

Image
জনাব হিমালয় পাই ওরফে মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয় আপনার নাম না দেয়া নির্দিষ্ট দাম না দেয়া বইটা পড়লাম। তবে এটাকে বইয়ের মর্যাদা কি আপনি আসলেই দিয়েছেন? আপনি অবসেশন দ্বারা পরিচালিত। লেখালেখি আপনার ভালো লাগে না। এতে আপনার অবসেশন কাজ করে না। তাই লেখাকে আপনি আপনার চিন্তা প্রকাশের একটি 'টুল' হিসেবে দেখেছেন কেবল। আপনি চিন্তায় বাঁচেন, চিন্তায় হাঁটেন। সেই চিন্তাগুলিকে নিতান্তই অবহেলায় শব্দ দিয়ে বেঁধেছেন, কোন এডিট করেন নি বানান এবং ব্যাকরণের ভুল ছাড়া। তাহলে আমাকে এই কথার উত্তর দিন জনাব তপেন সাহা ওরফে হাইফেন ওরফে হিমালয় পাই, আলোচনা আসলে আপনার বই নিয়ে হওয়া উচিত, না কি আপনার চিন্তা নিয়ে? আপনার চিন্তাধারা সম্পর্কে যদি আমি আগে থেকেই ৭০% জেনে থাকি, তাহলে এই বই আমাকে কেন পড়তে হবে বাকি ৩০% এর জন্যে? ৬১৯ পৃষ্ঠার বই, যার বেশিরভাগ জায়গা জুড়েই আত্মঅহমিকা ৩১৭৯ নামক অতি বোরিং চরিত্রটির সাথে একঘেয়ে আলাপে ভরপুর? আপনি এই রিপিটেশন, এই আত্মম্ভরীতা সবকিছুই স্বীকার করে নিয়েছেন, আবার এগুলোর পক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন নানারকম। অভিযোগ উত্থাপন করেছেন দুর্বল ভঙ্গিতে, আর উড়িয়ে দিয়েছেন ডাইনামাইট নিয়

আমি যেভাবে জ্বীন দেখলাম (সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা)

Image
এটা একটা সম্পূর্ন সত্য ঘটনা। তাই অবিশ্বাসীরা ভ্রু কুঁচকে তাকালে আমার কিছুই করার নেই। ঘটনার ভয়াল বিবরণে সত্যিকারের নামগুলো প্রকাশ করা অস্বস্তিকর ঠেকছে আমার কাছে। তাই বন্ধুদের সবার নিকনেম ব্যবহার করব। ঘটনাটা আমার ভার্সিটি লাইফের। ২০০১ এ, তখন ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। হলে সিট পাইনি, বাইরে মেসে থাকি। আমাদের মেসটা ছিলো একটু দূরে। ডাকাতিয়া বিলের কাছাকাছি। গভীর রাতে আমরা চা সিগারেট (তখনও ধরিনি এটা) খেয়ে নিঝুম নির্জন বিলের ধারে বসে গান গাইতাম, বেশ কাটছিলো জীবন। এর মাঝে এক বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের সিআর পয়মাল এসে জানালো যে, ওদের মেসে মেকানিক্যালের একটা ছেলে -মোসাদ, নাকি জ্বীন দেখাতে পারে। আমি তো শুনে হেসেই উড়ি্যে দিই আর কি! কিন্তু আমার রুমমেটদের কাউকে কাউকে বেশ সিরিয়াস মনে হল। বিশেষ করে টম কে। কারও অবিশ্বাস কারো সংশয় আর কারো উদগ্র ইচ্ছা, সব মিলে যা দাঁড়ালো, তা হল জ্বীন দেখার উদগ্র কৌতূহল। যেতে যেতে কথা হচ্ছিলো পয়মালের সাথে। ও তখন সদ্য তাবলীগের এক চিল্লা কমপ্লিট করে ফিরেছে।মুখে চাপদাঁড়ি, জোব্বাজুব্বা পরে ঘুরে বেড়ায়। মাথায় পাগড়ীর মত কি যেন একটা পরে, আর কিছুক্ষণ পর পর বাঁজখাই কন্ঠে আমাদের চমকে দিয়ে &

৫টি শকিং, ডিস্টার্বিং সিনেমা, যা আপনার মনে স্থায়ী ছাপ ফেলতে পারে!

Image
আজকের পর্বে থাকছে ৫টি সিনেমা। # La pianiste অস্ট্রিয়ান পরিচালক Michael Haneke এর অসামান্য একটা চলচ্চিত্র। একজন নিঃসঙ্গ নির্লিপ্ত পিয়ানো টিচারের কাহিনী এটি। ত্রিশোর্ধ এরিকা। মায়ের সাথে বসবাস করেন। কোন বয়ফ্রেন্ড নেই। ছেলেদের প্রতি তীব্র অনীহা। কোন এক অজানা কারণে,ছবিতে যা বলা হয়নি এরিকার মা হিজাবি মহিলাদের মত এরিকাকে ছেলে সংস্পর্শ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান সবসময়। আপাতদৃষ্টিতে অতি সাধারণ এই এরিকা কিন্তু ভয়ংকর রকম মনোবিকারগ্রস্ত। তার সবচেয়ে ছোট্ট উদাহরণ, পিয়ানো ক্লাশ শেষে তিনি মাঝেমধ্যে পর্নো মুভি দেখার বুথে গিয়ে একলা নিজের অবদমিত বাসনা মেটান। আরেকটা ছোট্ট উদাহরণ দেই, পার্কিং করে রাখা গাড়ীতে সঙ্গমরত তরুণ-তরুণীদের লীলা দেখতে জানালার কাঁচের সাথে সন্নিবিষ্ট হয়ে এরিকা সতৃষ্ণ চোখে তাকিয়ে থাকে। আরো অদ্ভুত এবং ভয়ানক মনোবিকারের কাহিনী না হয় ছবিতেই দেখে নিয়েন। ছবির শেষ দৃশ্যটা একটা মাস্টারপিস। এরিকার চরিত্রে ইসাবেলা হুপার্টের অভিনয় আমার প্রিয় তালিকার উপরের দিকেই থাকবে। #Seul contre tous কথা হচ্ছে যে, মানুষের মনের বিভৎসতম,অন্ধকারময় রূপ নিয়ে ছবি তৈরি করার আদৌ কি কোন প্রয়োজনীয়তা আছে? পৃথ

ছিঃ Manos, তুমি এত খারাপ!

Image
শিরোনাম দেখে হয়তো ভাবছেন হাসান মাহবুব আবার কবে থেকে মুরাদ টাকলা হলো! বাংলিশে মানুষ লিখতে গিয়ে Manos লিখে ফেললো! আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাই, এটা ‘মানুষ’ না, এবং বাংলিশও না। Manos হলো একটি স্প্যানিশ শব্দ। এর অর্থ- হাত। আর এত ইতং বিতং করে যার কথা বলতে চাচ্ছি, তা হলো একটি সিনেমা। একটি বিশেষ সিনেমা। তার পুরো নাম, “Manos, The Hands of fate”। সিনেমার নামের ভেতরেই কিন্তু ঝামেলা আছে, খেয়াল করেছেন? Manos অর্থও হাত, hand অর্থও হাত। তাহলে যদি ছবিটির নামের বাংলা তরজমা করতে যাই, কী দাঁড়াবে? “হাত, ভাগ্যের হাতটি”! পুনরাবৃত্তি দোষে দুষ্ট!  সে আর এমন কী, এর ভেতরে যা আছে তা জানলে এই সামান্য দোষকেও নিখুঁত শিল্পকর্ম মনে হবে। বুঝতেই পারছেন, আজ বেশ রসিয়ে বলার মুডে আছি! তা বলার আগে কিছু খটমট তথ্য জানিয়ে রাখি। “Manos, The Hands of fate” একটি আমেরিকান ‘ভৌতিক’ চলচ্চিত্র। এটি মুক্তি পায় ১৯৬৬ সালে। এর পরিচালক হ্যাল ওয়ারেন। কাহিনী সংক্ষেপ-একটি পরিবার (বাবা, মা এবং বাচ্চা মেয়ে) গাড়ি করে কোথাও যাচ্ছিলো। দুর্ভাগ্যক্রমে পথ হারিয়ে ফেললো। ঘুরতে ঘুরতে চলে এলো এক পোড়োবাড়ির সামনে। সেখানে এক অদ্ভুতদর্শন লোকের কাছ

পৃথিবীর ভয়ংকরতম ড্রাগ- ফ্লাকা (ভয়াবহ ভিডিও সংযুক্ত আছে, দুর্বলচিত্তেরা দেখবেন না)

Image
আপনার মুখে গুলি লেগেছে। রক্তক্ষরণে মারা যেতে পারেন। কিন্তু আপনি কোনো ব্যথাই অনুভব করছেন না। হয়ে আছেন সুপার হাইপার। প্রেতে পাওয়া ব্যক্তির মতো পিঠ ধনুকের মত বাঁকা করে উলটো হয়ে হাঁটছেন, আর ক্রমাগত অর্থহীন কথা বলে চলেছেন। হরর মুভিতে এমন দৃশ্য দেখা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু বাস্তবেও কি এমন হতে পারে? জ্বী, হতে পারে যদি আপনি ফ্লাকা (Flakka) ওভারডোজে থাকেন। ফ্লাকা কী? ফ্লাকা হচ্ছে নতুন ধরণের একটি সিনথেটিক ড্রাগ। এর পোষাকি নাম আছে আরো। সালভা, স্পাইস, ফাইভ ডলার ইনস্যানিটি ইত্যাদি। ফ্লাকার বড় ভাই হলো বাথ সল্ট (Bath salt) নামক আরেকটি ড্রাগ। যা ২০১১ সালেই ব্যান হয়ে যায়। বাথ সল্টের ওপর আরো অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এর চেয়েও অনেক শক্তিশালী একটি ড্রাগস আবিষ্কৃত হয়, এবং ফ্লাকা নামে পরিচিতি লাভ করে। ফ্লাকা’র উৎপত্তি যে যৌগটি থেকে তার নাম হলো- আলফা পিভিপি ( alpha-PVP ). এ্যামফিটামিন থেকে উৎপন্ন হতো ভয়ংকর ড্রাগ বাথ সল্ট, সেই এ্যামফিটামিনেরই নতুন রূপ হলো আলফা পিভিপি, যার ক্ষমতা পূর্বসরীর চেয়ে অনেক বেশি। মজার ব্যাপার কি জানেন? বাথ সল্টের ইনগ্রিডিয়েন্ট এ্যামফিটামিন ২০১১ সালে ব্যান হলেও ফ্লাকার ইন

সুইট হোম

Image
এখন.... আগামী সপ্তাহে একটা পার্টির আয়োজন করব ভাবছি। বন্ধুবান্ধব। চেনা মানুষজন। ডিপফ্রিজে ভরে রাখি প্রোটিনের টিন, সবজি, ফল আর ফরমালিন। আয়োজনের ঝক্কিতো কম নয়। আমার সাথে যে পুরুষটা থাকে সে উদাসীন। খুব উদাসীন। আমাকেই যতসব সামলাতে হয়। রাতে ঘুমোনোর সময়..... "ডিপফ্রিজে কি আর জায়গা আছে? সে সুধোয়। "উমম....তিন কেজি মাংস, মাংস.আর..মাংস..আর...উমমম..." আমার মনে পড়েনা আর কি কি আছে। "আচ্ছা, বাদ দাও, শুতে চল।" "হ্যাঁ, শোবার সময় হয়ে এল।" আমি সম্মতি জানাই। ঘর গোছগাছে লেগে পড়ি। "সবকিছু পরিস্কার করেছ তো ঠিকঠাক?" "খুব ঠিকঠাক, এসোতো.." আমি আমন্ত্রণ জানাই। আমরা ডিপফ্রিজে ঢুকে পড়ি। কিছুক্ষণ আগে আমি মাছ, মাংস আর সবজিগুলো ছুঁড়ে ফেলেছি ওখান থেকে। ওরা যথেষ্ঠ সজীবতা পেয়েছে। ওরা যথেষ্ঠ সতেজ হয়ে উঠেছে। এখন আমাদের সময়। আমাদের রাতের রোমাঞ্চ। "দেখি তুমি কতটুকু শীতল হলে?" সে আমার গায়ে হাত রেখে উষ্ণতা পরিমাপ করে। আমি প্রফুল্ল হয়ে উঠি তার রোমান্টিক আচরণে। "বরফ হতে বাকি শুধু" আমি হাসতে হাসতে বলি। কোত্থেকে একটা শাবল নিয়ে এসে স

কঠিন পৃথিবী এবং অমায়িক ফেসবুক

Image
নানা কারণে জীবনের ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এ জীবন আর রাখবোনা। সিদ্ধান্ত নেয়া পরবর্তী সংকটকাল কিভাবে সামলানো যায় তাই ভাবছিলাম। কারণ সবাই নিশ্চয়ই খুব সিনক্রিয়েট করবে, চোখের পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আমাকে এহেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু এসবই তো বৃথা। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে, এখন শুধু বাস্তবায়ন করাটাই বাকি। কিন্তু অবাক হয়ে খেয়াল করলাম যে কারো কোন মাথাব্যথাই নেই এ নিয়ে। সবাই আমার সামনে দিয়ে হাঁটছে, খাচ্ছে, চুল আঁচড়াচ্ছে, সিগারেটে সুখটান দিচ্ছে, কিন্তু একটিবারের জন্যেও কেউ বললনা যে.."যেওনা সাথী..(আর পারিনা)"। অবশ্য সিদ্ধান্তটার কথা আমি কাউকে জানাইনি। একটু ভয় ভয় লাগছিলো। এর আগে এসব কথা বলতে গিয়ে ঝাড়ি খেতে হয়েছিলো। মরার আগে কে ঝাড়ি খেতে চায় বলেন? মরার আগে তো শুনেছি একটা ফাঁসির আসামীকেও ভালোমন্দ খেতে দেয়া হয় আর আমি মরব ঝাড়ি খেয়ে? নো ওয়ে। এইবার আমি সিরিয়াস, এইবার দেখি কে ঠেকায়! এরকম দৃঢ় পণ করার পরেও দেখলাম যে কারো মধ্যে কোন ভাবান্তর নেই। কেউ কি চোখের ভাষা পড়তে পারেনা? পৃথিবী এত নিষ্ঠুর! ঠিক আছে, নিষ্ঠুর পৃথিবী, আমি থোড়াই কেয়ার করি। ওরে কে

মুভি রিভিউ- The Vanishing (1988) যে মুভিটি আমাকে তাড়া করে বেড়ায় এখনও!

Image
এই ডাচ মুভিটি যখন দেখি, তার  প্রায় সাত মাস আগের সময়টায় কোনো  সিনেমা দেখিনি বিভিন্ন কারণে। অপেক্ষা করছিলাম দারুণ কিছু দিয়ে শুরু করার। আকাঙ্ক্ষার ফলাফল যদি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক গুণ বেশি হয়, তাহলে এক ধরনের বিহবল অবস্থা সৃষ্টি হয়। The vanishing দেখার পর সেই অপূর্ব বিহবলতায় সময় অতিক্রান্ত হয়েছিলো।  প্রথমেই একটি সতর্কতা দিয়ে রাখি। যারা নরম হৃদয়ের অধিকারী, এবং সহজেই ডিস্টার্বড হন, তারা এই সিনেমাটি ভুলেও দেখবেন না। এ কথা শুনে নিশ্চয়ই ভাবছেন যে সিনেমাটি সেক্স, ভায়োলেন্স এবং প্রোফেইনিটি দিয়ে ভরা! যেমনটা দেখেছেন Cannibal Holocaust অথবা I spit on your grave এ! ভুল, পুরোপুরি ভুল! সিনেমাটিতে অতি সামান্য পরিমাণে ভায়োলেন্স আছে। একজন লোক আরেকজনকে মাটিতে শুইয়ে কিছুক্ষণ ঘুষি-লাথি মারলো, খুবই দুর্বল মার, কোনো রক্তারক্তি হলো না। এই দৃশ্য তো একটা শিশুও দেখতে পারে, না কি বলেন? পুরো মুভিতে শিট শব্দটি মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে। কোনো এফ ওয়ার্ড নেই। যৌনতা- একেবারেই নেই। ড্রাগস- নেই। আপনি যদি টেনে টেনে দেখেন, মনে হতে পারে যে আপনাকে ব্লাফ দিয়ে সময় নষ্ট করার কুবুদ্ধি এঁটেছি। তাই আগে থেকেই বলে রাখি, সিনেম

ডার্ক ওয়েব, ডিপ ওয়েব, মারিয়ানাস ওয়েব, মিথ বনাম বাস্তবতা

Image
আমি ডার্ক ওয়েবে এক সময় মাসের পর মাসে পড়ে থেকেছি ”, আমার এক প্রবাসী ছোট ভাই একদিন কথা প্রসঙ্গে জানালো। আমি তখন ডার্ক ওয়েব নিয়ে অল্পবিস্তর পড়াশোনা করছি। নানারকম গা ছমছমে গল্প পড়ি , কিন্তু ঢোকার সাহস পাই না। কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করি , কেন সে ওখানে অত সময় কাটাতো। সে বড় অদ্ভুত এক উত্তর দিলো। তার স্বপ্ন হচ্ছে সর্বোচ্চ লেভেলের হাইটেক অনলাইন সিকিউরিটিতে কাজ করা। সেসব কাজ করতে হলে ওকে এমন সব কিছুর এক্সেস পেতে হবে , যা সাধারণ মানুষের পক্ষে হজম করা সম্ভব নয়। আর এসব অভিজ্ঞতা নিতে হলে ডার্ক ওয়েবের চেয়ে ‘ ভালো ’ কিছু আর কী হতে পারে ? খুব সংক্ষেপে বলে নেই ডার্ক ওয়েব কী। ডার্ক ওয়েব হলো ইন্টারনেটের এমন একটি অংশ , যেখানে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন অথবা ব্রাউজার দিয়ে প্রবেশ করা যায় না। এর জন্যে লাগে বিশেষ ব্রাউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন। যেমন টর এবং অনিয়ন। কী থাকে ডার্ক ওয়েবে ? প্রশ্নটা বরং এমন হওয়া উচিত ,  কী থাকে না ডার্ক ওয়েবে! জাল পাসপোর্ট চান ?  পেয়ে যাবেন। পেশাদার খুনী চান ?  পেয়ে যাবেন। পাইরেটেড বই ,  সিডি লাগবে ?  কোনো ব্যাপারই না! আর দুর্ধর্ষ সব হ্যাকিং টুল তো খুবই সহজলভ্য! যেকোন ধরণের ড্