তোমার জন্যে শুভ্র গোলাপ, বেড়ালতমা -হামিম কামাল
এমন কৌতুককর দুঃস্বপ্ন আর দেখিনি। নরকের এমন স্বর্গীয় যাপনও কমই করেছি। “বেড়ালতমা” নিয়ে বলছি, হাসান মাহবুবের উপন্যাস। সিপাহী রেজার অতিপ্রাকৃতিক প্রচ্ছদটা বলছিল, এ বই কোনো গভীর কালোর ভেতর নিয়ে গিয়ে আমাকে গোলাপের সৌরভ দেবে। প্রচ্ছদ সত্য হয়েছে। আমি সেই সৌরভ পেয়েছি। আমাকে এক পরাবাস্তব জগতের চাদর জড়িয়ে রেখেছে। এমন সুখ সুখ নরক শুধু তখনই অনুভব করেছি, যখন ও যতবার আমি কাফকা পড়েছি। এবং কাফকা যেখানে থেমে গেছেন, হাসান মাহবুবের শুরুর বিন্দু ওটাই। কাফকার চরিত্রগুলো তাদের মনুষ্যত্বকে বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। এবং সমাজের কাছ থেকে তার দণ্ড গ্রহণ করেছে। বেড়ালতমার কথকও মনুষ্যত্বকে প্রত্যাখ্যান করতে চায়। হাসান মাহবুবের লেখায় প্রধান চরিত্রগুলোর ভেতর যা সহজাত। তবে এখানে আরো খানিকটা জল গড়িয়েছে। “বেড়ালতমা” আমাকে দেখিয়েছে, মনুষ্যত্বকে প্রত্যাখ্যানের যে চেষ্টা তা মূলত মনুষ্যত্বে ফিরে আসারই পথ। যেন একটা মানুষ বাড়ি থেকে পালাচ্ছে কারণ সে বাড়িতে ফিরে আসতে চায়। উপন্যাসটা এই পথে আমার কাছে দার্শনিক। উপন্যাসগুলো যখন এমন পরস্পরবিরোধী বিমূর্ত বাস্তবতা নিয়ে ডিল করে, রসশূন্য শুষ্ক হয়ে ওঠার সমূহ আশঙ্কা থ