ছায়া ছায়া মায়া আপা

উৎসবের রাত্তিরে
উর্দি পরা উদভ্রান্ত ধার্মিকেরা
খুঁজে ফেরে উপাস্যের আসমান ঘর বাড়ী
আমিও সেই অজুহাতে
চষে বেড়াই পুরোনো শহর....
পেরিয়ে যাই পঙ্গুদের চিকিৎসালয়
মেয়ে কলেজ, আর অজস্র বাসস্ট্যান্ড।
উপাসনালয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে
রাত্রির মধ্যপ্রহরে
উৎকন্ঠার এঁদোপথে হোঁচট খেতে খেতে
পলেস্তারা খসা সে বাড়ীটার সামনে...
বুক কাঁপা কাঁপা
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে
ছায়া ছায়া মায়া আপা।
অসুস্থ্য শিশু শুয়ে বসবার ঘরে
তার পেচ্ছাপের পথে সংযুক্ত সতর্ক নল,
বাসাময় ত্রিকোন হলুদ সুস্বাদের সুঘ্রাণ
অতিথির দঙ্গল
আমি....
ম্রিয়মাণ।
কোথাও নিঝুম বারান্দা নেই,
উড়ে গেছে কবে নির্জন ছাদটা জোৎস্নার বিস্মরণে
স্তব্ধতার সংস্পর্শে ফুঁসে ওঠে আগুন
ছাই চাপা
আমার অর্জিত সমস্ত পুণ্য কেড়ে নেয়ার অভিপ্রায়ে
নিস্পলক চোখে তাকিয়ে
ছায়া ছায়া মায়া আপা।
উপাসনালয় থেকে ফিরে আসে অগ্রজ পুরুষেরা
তাদের উপার্জনকৃত পুণ্যের রোশনাইয়ে
আলোকিত হয়ে ওঠে ঘর।
পাশঘরে..
অলৌকিক কিতাব পাঠরত কন্ঠস্বর
নির্লিপ্ত চোখে তার কথা মাপা মাপা
আতশবাজীর আলোতে উজ্জ্বল রাস্তায়
প্রস্থানরত আমি সতৃষ্ণ চোখে পিছু ফিরে দেখি
বারান্দায় দাঁড়িয়ে
ছায়া ছায়া
মায়া আপা..

Comments

Popular posts from this blog

প্যাথেটিক হোমিওপ্যাথি, কেন বিশ্বাস রাখছেন!

মৃতবৎসা জোছনার কাল

তোমার জন্যে শুভ্র গোলাপ, বেড়ালতমা -হামিম কামাল