অসময়ে আউট'ল
চুপদুপুরে ভাতঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে বুনোপশ্চিম থেকে ধেয়ে আসে আউট ল। বিষের গেলাসে চুবিয়ে রাখে ক্যাকটাস কার্তূজ। এই ফুল বড় দ্রুত ফোটে। হয়তো বিকেলেই ফুটবে ফট ফট করে। তখন আমি পুষ্প আর বুলেটের তাত্ত্বিক পরম্পরা নিয়ে আলোচনা করব তার সাথে, গোধূলীর বিমর্ষতাকে ধাওয়া করে ধূলি উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে দামদর করে কিনে নেব লবস্টার। অনাষাঢ়ে বৃষ্টিস্নাত যুগলদের মুখে ঠেসে চেপে ধরব ধূলিময় চিঙড়িপিস্তল। তারা বৃষ্টিতে ভিজতে শেখেনি, তারা ধূলিজর্জর পৃথিবীর পলায়নপ্রবৃত্তি জেনেছে। আমার ভাতঘুম নষ্ট করা ওয়ান্টেড তকমাওলা আউটলয়ে'র চোখে তখন রাজ্যের ক্লান্তি। মারণঘাতী কোল্ট পিস্তল দেখে টোকাইরা এসে হাস্যোচ্ছলে হাওয়াই মিঠাই গুলি ছুড়ছে।
আমার ভাতঘুম আর বেপরোয়া পশ্চিমা অভিসন্ধিৎসু দস্যু হতাশ হয়ে ধানমন্ডির লেকে লাফ দিয়ে হাবুডুবু খেতে খেতে চিৎকার করবে, "রঙ চা! চিনি ছাড়া এক কাপ!"
রঙমিশ্রিত চায়ের প্যারাট্রুপারে আশ্রয় নিয়ে আমরা উড্ডীন হব পূর্ব-পশ্চিমের জীর্ণ মেঘসরাইয়ে!
Comments
Post a Comment